বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

কঠোর লকডাউনে যা বন্ধ ও খোলা থাকবে

তরফ নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে ফের আগামীকাল সোমবার থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লকডাউনে বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত। এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিধিনিষেধের মধ্যে সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে বাজেটের কাজে সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক শাখা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি অফিস আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার জানান, গণমাধ্যম বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এছাড়া জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না।

আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে যাতে স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে।

বর্তমানে দেশের অধিকাংশ জেলা করোনার ভয়াবহতার ঝুঁকিতে রয়েছে। ১৪ থেকে ২০ জুন নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক রোগতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টিই সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় ২২ জুন থেকে রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই প্রচেষ্টায় রাজধানীর আশপাশের চারটি জেলাসহ মোট সাতটি জেলায় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের চলাচল ও কার্যক্রম ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই সাত জেলা হলো মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। এখন সারা দেশই কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আসছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com